সোমবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:০৭
শিরোনাম :
নেছারাবাদ সাগরকান্দার কুখ্যাত ডাকাত রুবেল খুলনায় আটক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তারের অবহেলায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ‍্যে নেছারাবাদ উপজেলায় মতবিনিময় সভা বরিশালে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ দিবসের কর্মসূচি প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আশ্রয় নিল ১৪ মিয়ানমার সেনা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি: শেখ ফজলে শামস পরশ বিআইডব্লিউটিএ’র গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সার্ভিসের সাতটি ইউনিট অগ্রণী ব্যাংক ৯৭৫ তম রায়পুরা শাখার উদ্বোধন আসন্ন রায়পুরা পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে মোঃ বাহাউদ্দীনকে কাউন্সিলর করতে চান “ওয়ার্ডবাসী”

ঢাকা শহরের নতুন চাঁদাবাজ ভোলার স্ব-ঘোষীত সম্পাদক জিয়াউর রহমান

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা::

মোঃ জিয়াউর রহমান। পিতা- আঃ মোতালেব,, মাতা- জহুরা বেগম,,জেলা ভোলা। বি এন পি ঘরনার অনলাইন ডট কমের একজন স্ব-ঘোষিত সম্পাদক । স্ব- ঘোষীত এই সম্পাদকের টার্গেট সরকার এবং সরকারী কর্মকর্তাগন। যাদের বিরুদ্ধে দু-এক লাইন লেখে অনলাইনে ছেড়ে দেন। বিস্তরীত আসছে জানিয়ে ওইসব সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবী করেন। মান-সম্মান এবং সরকারী চাকুরীতে বিভিন্ন ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য বেতনের টাকা থেকে অথবা বউয়ের গয়না বিক্রী করে চাঁদা দিতে বাধ্য হয় এই কথিত কমবয়েসী সম্পাদককে। কমবয়েসী বলছি এই কারনে এই সম্পাদকের বয়স অতিঅল্প, যে কারনে বলছি স্ব- ঘোষীত সম্পাদক, কারন একজন সম্পাদক হতে হলে বয়সেরও একটা ব্যাপার আছে। খোজ নিয়ে জানা যায়,, জিয়াউর রহমানের বাড়ি ভোলা জেলায়, তার বাবা কট্টরপন্থী বিএনপি কর্মী। শখ করে ছেলের নাম রাখেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে কিন্তু ধান্ধাবাজ স্ব-ঘোষিত সাংবাদিক জিয়াউর রহমান প্রথমে নীজ জেলা ভোলায় সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজী শুরু করেন। মামলা মাথায় নিয়ে ঢাকা আসেন। ঢাকা এসে, চাঁদাবাজ জিয়াউর রহমান “তদন্ত চিত্র” নামে একটা পোর্টাল অনলাইন মিডিয়া দিয়ে চাঁদাবাজী শুরু করেন। আর এই চাঁদাবাজীৱ বলী হচ্ছেন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

চাঁদাবাজ জিয়াউর রহমানের কাজ হলো প্রথমে উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে বিব্রত করা। আপনার নামে অনেক অনেক অভিযোগ আছে, ঢাকায় আপনার নামে অনেক সম্পদ আছে এগুলো আমার পত্রিকায় লিখবো, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ কর্মকর্তা বলেন আমার তো কোন সম্পদ নেই আপনি কি লিখবেন ? আপনার সম্পদ না থাকলেও পেপারে আসলে মানুষ বিশ্বাস করবে। সন্মানের ভয়ে ঐ কর্মকর্তাগন টাকার বিনিময়ে ঝামেলা মিট করেন। চাঁদাবাজ জিয়াউর রহমান এভাবে শত শত কর্মকর্তাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেন। চাঁদার টাকার গরমে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন কথিত সাংবাদিক জিয়া, মেয়ে বান্ধবী নিয়ে বিভিন্ন রিসোর্ট ও সৈকতে ভ্রমণ করছেন। চাঁদা বাজ এবং নারী পিপাসী জিয়ার কর্মকাণ্ড দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, জিয়া কোন অফিসে আসলে তাকে সিগারেটের প্যাকেট কিনে দিতে হয়।

চাঁদাবাজ জিয়া , গণপূর্ত, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ারসার্ভিস, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পাসপোর্ট, হাসপাতাল, এবং বাংলাদেশের পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বাড়ি, বাড়ি গিয়ে তাদের বাড়ি ঘরের ছবি তুলে নিয়ে আসেন এবং সেটা দিয়ে চাঁদাবাজী করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে জিয়ার বিরুদ্ধে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং দুদকে আবেদন করা হয়েছে । জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রায়ই ঘোড়াঘূড়ী করেন কথিত এই সাংবাদিক। বন্ধুর ছলে কি করে সম্পাদক হইলা? প্রশ্ন করলে কথিত সম্পাদক বলেন এখনতো সম্পাদক যে কেউ হওয়া যায়। এক হাজার টাকায় ডমিন, দুই হাজার টাকায় হোষ্টিং এক হাজার টাকার ডিজাইন, মোট ৪,০০০/- টাকা খরচ করলে যে কেউ একটি অনলাইন পোর্টাল খুলে সম্পাদক ও প্রকাশক হওয়া যায়।

জিয়া আরো বলেন, পোর্টাল খোলার পড়ে তথ্য মন্ত্রনালয়ে একটা দরখাস্ত দিয়ে রাখবেন আর তথ্য মন্ত্রনালয়ে জমাকৃত ডকুমেন্টটি সাথে রাখলেই আপনি হয়ে গেলেন পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক। অনুমোদন দিক না দিক চলতে পারবেন দুই থেকে দশ বছর। বন্ধুর ছলে আরেকটি প্রশ্ন করা হলে, এই যে বড় বড় সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লেখেন আপনার ভয় করে না? উত্তরে কথিত সম্পাদক বলেন। সরকারী কর্মকর্তারা বোকা ও ভীতু, এরা সংবাদ প্রকাশের কথা বল্লেই ভয় পায়। তাছাড়া উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জুট- ঝামালে থেকে মুক্ত থাকার জন্য মামলা মোকাদ্দমা করতে চায় না। যার কারনে আপোষ – রফা করতে বাধ্য হয়। সংবাদ প্রকাশ করতে হলে ডকুমেন্ট লাগে না? প্রশ্ন করা হলে। জিয়া অট্র হাসী দিয়ে বলেন, আরে ডকুমেন্ট পাবো কোথায়? সরকারী এক কর্মকর্তা আরেক কর্মকর্তার গোপন দূর্নীতির কথা বলেন, সেই সূত্রধরে আমি দু- এক লাইন লেখে ফাপর দেই। অমনি শুরু হয় আপোষ রফা করার জন্য তদবীর। যা দিয়ে চলি আমি। বিএনপি ঘরনার কথিত এই সম্পাদকের হাত থেকে বর্তমান সরকার ও সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন কেউ নিরাপদ নন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক সরকারী কর্মচারীগন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় তথ্যমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি মহোদয় ও ডিবি প্রধানের কাছে আকুল আবেদন করেছেন যে, কথিত এই সম্পাদকের আয়ের উৎস এবং তার প্রতারনার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থ্যা গ্রহনের জন্য।

সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা